খেলা-বিনোদন

আইসিসির মাস সেরার দৌড়ে তাইজুল

মুক্তমন ডেস্ক : ডিসেম্বর মাসের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে তাইজুলের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স ও নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস।

ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্বার ছন্দে ছিলেন তাইজুল ইসলাম। স্পিন ঘূর্ণিতে কিউই ব্যাটসম্যাননদের তটস্থ রেখেছিলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি এই স্পিনার। দারুণ বোলিং করার স্বীকৃতি মিললো তার। আইসিসির মাস সেরার পুরস্কার ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা হয়েছে তাইজুলের। প্রথমবারের মতো মাসসেরার জন্য মনোনয়ন পেলেন তিনি।

ডিসেম্বর মাসের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে তার সঙ্গে আছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস। মেয়েদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ভারতের দুই ক্রিকেটার জেমিমা রদ্রিগেস ও দীপ্তি শর্মা এবং জিম্বাবুয়ের প্রেশাস মারাঙ্গে। মাস সেরার দৌড়ে থাকা ক্রিকেটারদের নাম সোমবার ঘোষণা করেছে আইসিসি।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম টেস্ট শুরু হয় ২৮ নভেম্বর, শেষ হয় ২ ডিসেম্বর। এই টেস্ট ম্যাচটি ডিসেম্বর মাসে বিবেচনা করা হয়েছে। ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো কিউইদের টেস্টে হারানোর এই ম্যাচে বল হাতে নেতৃত্ব দেন তাইজুল। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা।

প্রথম ইনিংসে ১০৯ রান খরচায় তাইজুল ৪টি উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও দাপুটে বোলিং করেন তিনি। কিউইদের পথ ভুলিয়ে দেওয়া অভিজ্ঞ এই স্পিনার ৭৫ রানে নেন ৬টি উইকেট। তার স্পিন জাদুতে বাংলাদেশ ম্যাচ জেতে ১৫০ রানে। মিরপুরে হেরে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টেও আলো ছড়ান তাইজুল। প্রথম ইনিংসে নেন ৩ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে ২টি। দুই টেস্টে ১৫ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন তিনি।

গত বছরজুড়ে দুর্দান্ত সময় কাটানো কামিন্স ডিসেম্বর মাসেও ছিলেন দারুণ ছন্দে। পাকিস্তানকে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করার দুটি ম্যাচ ডিসেম্বরে হয়। এই দুই ম্যাচে অজি অধিনায়ক নেন ১৩ উইকেট। পার্থ টেস্টে অবশ্য সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি তিনি, দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন ৩ উইকেট। মেলবোর্নে পরের টেস্টে আগুনে বোলিং করা ডানহাতি এই পেসার দুই ইনিংসেই ৫ উইকেট করে শিকার করেন। এই মাঠের ইতিহাসে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি করেন কামিন্স।

বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড সিলেট টেস্টে হারলেও ব্যাটে বলে উজ্বল ছিলেন ফিলিপস। ৫৪ রান করার পাশাপাশি অফ স্পিনে ৫ উইকেট নেন উইকেটরক্ষকের গ্লাভস ছেড়ে নিয়মিত বোলার হয়ে ওঠা এই কিউই অলরাউন্ডার। মিরপুর টেস্ট নিউজিল্যান্ডকে তিনিই পথ দেখান। মিরপুরের কঠিন উইকেটে প্রথম ইনিংসে ৭২ বলে ৮৭ রান করেন ম্যাচসেরা ফিলিপস। পরে লক্ষ্য তাড়ায় দলের দুঃসময়ে ৪৮ বলে করেন অপরাজিত ৪০ রান। প্রথম ইনিংস বল হাতে ৩টি উইকেট নেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button