জাতীয়

কনকনে শীতের সঙ্গে বৃষ্টি, জেলায় জেলায় স্কুল বন্ধ

শীতের প্রকোপের সঙ্গে দেশের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হওয়ায় সেখানকার তাপমাত্রা আরো নেমেছে। আর তাপমাত্রা নেমে যাওয়ায় কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে, ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, সকাল থেকে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে খুলনা, ভোলা, ফরিদপুর, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহসহ একাধিক জেলা থেকে।

এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৯ মিলিমিটার এবং যশোরে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ মিলিমিটার।

বৃহস্পতিবারও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে রংপুর বিভাগের সব জেলা, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ এবং রাজশাহী বিভাগের নওগাঁয়।

আবহাওয়াবিদ রহমান জানান, বৃষ্টির পর কুয়াশা কমে সূর্যের দেখা মিলবে। সেই সঙ্গে শুক্রবার থেকে সারাদেশের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এর আগে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে সব বিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এদিন অন্তত চারটি জেলায় স্কুল বন্ধের খবর পাওয়া গেছে।

চুয়াডাঙ্গায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণ স্কুল-মাদরাসাসহ মোট ১৮০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। তবে জেলার প্রাথমিক ও কিন্ডারগার্টেন খোলা থাকায় অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকলেও ভোরে বৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসেনি।

বরিশালে শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৃষ্টি। এতে তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি কমে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। জেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

পঞ্চগড়ে স্কুলে আসার পরে শিক্ষার্থীদের জানানো হয় স্কুল বন্ধের খবর। স্কুলে এক সপ্তাহের ছুটির দাবি তুলেছেন অভিভাবকেরা।

কুড়িগ্রামে শীতের প্রকোপ বাড়ায় জেলার সমস্ত স্কুল বন্ধ ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।

বৃষ্টিতে শীতের তীব্রতা ও কুয়াশা বেড়েছে ভোলায়। সকাল ১১ টার দিকে এক ঘণ্টায় শূন্য দশমিক পাঁচ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঠাণ্ডায় কাজে যেতে পারছেন না ভোলার দিনমজুর আর জেলেরা।

তীব্র শীতের সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হওয়ায় খুলনায় নগরে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসীর। এদিকে মৌলভীবাজারে চা বাগানসহ শহর এলাকায় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে। চা শ্রমিক থেকে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button